বসন্ত নিয়ে বক্তব্য

বসন্ত ঋতু প্রকৃতির এক অপূর্ব সৌন্দর্যের ঋতু। এটি বাংলার ছয় ঋতুর মধ্যে পঞ্চম ঋতু, যা ফাল্গুন ও চৈত্র মাসজুড়ে বিরাজমান। বসন্তকে বলা হয় ঋতুরাজ, কারণ এ ঋতু প্রকৃতিকে সজীব ও উজ্জীবিত করে তোলে।

বসন্তের আগমনে প্রকৃতি এক নতুন রূপ ধারণ করে। গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়, ফুলে ফুলে ভরে ওঠে চারপাশ। পলাশ, শিমুল, কাঁচা আমের মুকুল, কৃষ্ণচূড়ার মতো ফুল প্রকৃতিকে রঙিন করে তোলে। বসন্তের হাওয়ায় আসে মিষ্টি সুবাস, যা প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। এ সময় কোকিলের মধুর কূজনে প্রকৃতি আরও মুগ্ধকর হয়ে ওঠে।

বসন্ত শুধুই প্রকৃতির পরিবর্তন নয়, এটি মানবমনের ওপরও গভীর প্রভাব ফেলে। এ সময় মানুষ নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করে এবং জীবনের প্রতি আশাবাদী হয়ে ওঠে। বাংলার সংস্কৃতি ও সাহিত্যে বসন্ত ঋতুর বিশেষ প্রভাব রয়েছে। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে কাজী নজরুল ইসলাম পর্যন্ত অনেক সাহিত্যিক তাদের লেখায় বসন্তের সৌন্দর্য ও উচ্ছ্বাস ফুটিয়ে তুলেছেন।

বসন্ত উৎসব বাঙালি সংস্কৃতির একটি অপরিহার্য অংশ। ফাল্গুন মাসের প্রথম দিন পহেলা ফাল্গুন, যা বসন্ত উৎসব হিসেবে পালিত হয়। এ দিন সবাই হলুদ, কমলা বা রঙিন পোশাক পরে বসন্তকে বরণ করে। বসন্ত উৎসব আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের একটি মাধ্যম।

অতএব, বসন্ত ঋতু আমাদের জীবনের সৌন্দর্য, সজীবতা ও নবজাগরণের প্রতীক। এটি আমাদের প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে এক অদ্ভুত মিলন ঘটায়। বসন্তের আগমনে যেন আমরা প্রকৃতি এবং আমাদের সংস্কৃতিকে আরও বেশি ভালোবাসতে শিখি।

মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *