রিইউনিয়ন বক্তব্য এমন একটি বিষয়, যেখানে আপনাকে অতীত স্মৃতিগুলোকে তুলে ধরে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া কিছু কথা বলতে হয়। এটি হতে পারে কোনো স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিইউনিয়ন, কিংবা অফিস বা পরিবারের পুনর্মিলনী। একটি আদর্শ রিইউনিয়ন বক্তব্য সাধারণত এই পয়েন্টগুলোতে ফোকাস করে:
রিইউনিয়ন বক্তব্যের খসড়া
১. শুরুতে অভিবাদন এবং ধন্যবাদ:
“আসসালামু আলাইকুম/ নমস্কার। আজকের এই স্মৃতিময় সন্ধ্যায় উপস্থিত হওয়া সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমরা সবাই আজ একটি বিশেষ উপলক্ষ উদযাপন করতে এখানে একত্রিত হয়েছি—আমাদের রিইউনিয়ন, যা আমাদের পুরোনো দিনগুলোকে নতুন করে ফিরে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।”
২. পুরনো দিনের স্মৃতি তুলে ধরা:
“মনে পড়ে সেই দিনগুলো, যখন আমরা একসঙ্গে ক্লাস করেছি, খেলাধুলা করেছি, দুষ্টুমি করেছি, কিংবা পরিশ্রম করে স্বপ্ন গড়েছি। সেসব দিন আমাদের জীবনের এক অমূল্য অধ্যায়, যা আজও আমাদের মনে ভাস্বর।”
৩. জীবন এবং সময়ের পরিবর্তন নিয়ে কথা:
“সময় বয়ে গেছে, আমরা সবাই জীবনের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছি। কেউ শিক্ষক, কেউ ডাক্তার, কেউ ব্যবসায়ী বা অন্য কোনো পেশায় নিয়োজিত। তবে আমাদের হৃদয়ের একটি অংশ সবসময় সেই পুরোনো দিনের বন্ধনকে আঁকড়ে ধরেছে। আজকের এই রিইউনিয়ন তারই প্রমাণ।”
৪. আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ:
“আজকের এই সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের পরিশ্রমের ফলেই আমরা সবাই আজ এখানে একত্রিত হতে পেরেছি।”
৫. ভবিষ্যতের প্রত্যাশা:
“আমি আশা করি, এই বন্ধন শুধু এখানেই থেমে থাকবে না। আমরা ভবিষ্যতে আরও এমন মিলনমেলা করবো এবং আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করবো। আমরা একসঙ্গে কাজ করবো নতুন প্রজন্মের জন্য, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা সমাজের উন্নতির জন্য।”
৬. শেষের কিছু হৃদয়গ্রাহী কথা:
“শেষ করার আগে একটি কথাই বলতে চাই—আমাদের বন্ধন চিরদিন অটুট থাকুক। আমরা যেন জীবনের সব ব্যস্ততার মাঝেও একে অপরকে মনে রাখি এবং নিয়মিত খোঁজখবর নেই। ধন্যবাদ, সবাই ভালো থাকুন।”
আপনার রিইউনিয়নের ধরন অনুযায়ী এটি সম্পাদনা করে ব্যক্তিগত গল্প বা উল্লেখযোগ্য ঘটনাও যোগ করতে পারেন। বক্তব্যের শেষ অংশে কোনো কোট বা কবিতা যুক্ত করলে সেটি আরও আবেগময় হতে পারে।
আপনার বক্তব্যটি কোন ধরনের রিইউনিয়নের জন্য দরকার? বিষয় অনুযায়ী আমি আরও নির্দিষ্টভাবে সাজিয়ে দিতে পারি।