নিজের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

সম্মানিত সভাপতি এবং আমার অতি শ্রদ্ধেয় সহপাঠী ও সহকর্মীবৃন্দ,

আজ এই বিদায় অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে আমার মনের ভেতর এক অনির্বচনীয় অনুভূতি কাজ করছে। এটি একটি বিশেষ মুহূর্ত—একদিকে বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি অগাধ কৃতজ্ঞতা।

আমি প্রথম যেদিন এই প্রতিষ্ঠানে পা রেখেছিলাম, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি দিন ছিল আমার জন্য শেখার, বেড়ে ওঠার, এবং নিজেকে গড়ে তোলার একটি সোপান। শিক্ষকরা আমাকে শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান নয়, জীবনের পথচলার জন্য প্রয়োজনীয় মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা এবং আত্মবিশ্বাস দিয়েছেন। সহপাঠীদের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত, হাসি, কৌতুক, বিতর্ক, এবং কখনো কখনো মতানৈক্য—সবই আজ স্মৃতির অমূল্য অংশ হয়ে থাকবে।

আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ আমার শিক্ষকদের প্রতি, যাঁরা আমাকে কখনোই শুধু ছাত্র হিসাবে দেখেননি, বরং আমাকে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। আপনাদের প্রতিটি পরামর্শ আমার জীবনের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।

আমার সহপাঠীদের প্রতিও রইল আন্তরিক ভালোবাসা। আমরা একে অপরের সঙ্গে যে স্মৃতিগুলো ভাগ করে নিয়েছি, তা চিরকাল আমার হৃদয়ে বেঁচে থাকবে। আমরা একে অপরকে যেভাবে সহযোগিতা করেছি, তা শুধু আমাদের পড়াশোনায় নয়, জীবনের নানা ক্ষেত্রে আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

আজ বিদায় নিলেও এই প্রতিষ্ঠান এবং এখানকার মানুষদের প্রতি আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা কখনোই শেষ হবে না। এখানে পাওয়া শিক্ষাগুলোকে পাথেয় করে আমি জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করব।

আমার শেষ অনুরোধ, আপনারা সবাই আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন, যেন আমরা জীবনে সফল হতে পারি এবং আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান ও দেশের গৌরব বৃদ্ধি করতে পারি।

শেষে, একটি ছোট্ট কবিতার মাধ্যমে বিদায় জানাই:
“বিদায় বলি নয় যেন শেষ,
শুরু হোক নতুন এক দেশ।
স্মৃতি যত বাঁধন ঘেরা,
চিরকাল রাখবে ভালোবেসে ধরা।”

ধন্যবাদ, সবাই ভালো থাকবেন।

সহকর্মীর বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *