সৃজনশীল

ছদ্ম হ্যালোজেন কাকে বলে

ছদ্ম হ্যালোজেন বা “Pseudohalogen” হলো এমন এক ধরনের যৌগ যা রাসায়নিক ও ভৌত ধর্মের দিক থেকে হ্যালোজেন পরমাণুর মতো আচরণ করে, তবে এটি হ্যালোজেন নয়। ছদ্ম হ্যালোজেন সাধারণত দুটি বা ততোধিক পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত হয় এবং এর বৈশিষ্ট্য হ্যালোজেনদের মতোই, যেমন − তারা হ্যালাইড আয়ন গঠন করতে পারে। উদাহরণ: সায়ানোজেন (C2N2C_2N_2C2​N2​) থায়োসায়ানেট (SCN−SCN^-SCN−) আযাইড (N3−N_3^-N3−​) বৈশিষ্ট্য: হ্যালোজেনদের মতোই ছদ্ম হ্যালোজেনও …

Read More »

আন্ত হ্যালোজেন যৌগ কি

আন্ত হ্যালোজেন যৌগ (Interhalogen Compounds) হলো দুটি ভিন্ন হ্যালোজেন পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত রাসায়নিক যৌগ। হ্যালোজেন মৌলগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্লোরিন (F), ক্লোরিন (Cl), ব্রোমিন (Br), আয়োডিন (I), এবং অ্যাস্টাটিন (At)। আন্ত হ্যালোজেন যৌগে একটির সাথে অন্যটি রাসায়নিক বন্ধনে যুক্ত থাকে। আন্ত হ্যালোজেন যৌগের বৈশিষ্ট্য: গঠন: আন্ত হ্যালোজেন যৌগের সাধারণ রসায়নিক গঠন হলো: AB, AB₃, AB₅, বা AB₇ এখানে A হলো বৃহত্তর …

Read More »

হ্যালোজেন মৌল কাকে বলে

হ্যালোজেন মৌল হলো পর্যায় সারণির ১৭তম গ্রুপের (Group 17) মৌলগুলো, যা অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল এবং গ্যাস, তরল ও কঠিন অবস্থায় পাওয়া যায়। হ্যালোজেন শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ “halos” (লবণ) এবং “genes” (উৎপাদনকারী) থেকে, অর্থাৎ “লবণ উৎপাদনকারী।” হ্যালোজেন মৌলের সংজ্ঞা: হ্যালোজেন মৌল হলো পর্যায় সারণির ১৭তম গ্রুপের মৌল, যা অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল অধাতু এবং সাধারণত ধাতুর সাথে বিক্রিয়া করে লবণ উৎপন্ন করে। হ্যালোজেন …

Read More »

সোশ্যাল মিডিয়া কাকে বলে

সোশ্যাল মিডিয়া বলতে ইন্টারনেটভিত্তিক এমন একটি প্ল্যাটফর্ম বা মাধ্যমকে বোঝায়, যেখানে মানুষ নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে, বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করে এবং ভার্চুয়াল কমিউনিটি গঠন করে। এটি মূলত ব্যবহারকারীদের তথ্য বিনিময়, মতামত প্রকাশ, ছবি বা ভিডিও শেয়ারিং, এবং বিভিন্ন ধরণের বিষয়বস্তু তৈরি ও প্রচারের সুযোগ করে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ার সংজ্ঞা: সোশ্যাল মিডিয়া হলো ইন্টারনেটভিত্তিক একটি ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যম, যা ব্যবহারকারীদের …

Read More »

তাপপ্রবাহ কাকে বলে

তাপপ্রবাহ (Heat Transfer) হলো তাপশক্তি স্থানান্তরের একটি প্রক্রিয়া, যা তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে ঘটে। তাপ সর্বদা উচ্চ তাপমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন তাপমাত্রার স্থানে প্রবাহিত হয়, যতক্ষণ না উভয় স্থানের তাপমাত্রা সমান হয়। তাপপ্রবাহের সংজ্ঞা: তাপপ্রবাহ বলতে সেই প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যার মাধ্যমে তাপ এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে বা একই বস্তুর এক অংশ থেকে অন্য অংশে স্থানান্তরিত হয়। তাপপ্রবাহের প্রকারভেদ: তাপপ্রবাহ তিনটি …

Read More »

অণুজীব জগৎ কাকে বলে

অণুজীব জগৎ বলতে এমন এক বিশাল জীবজগৎকে বোঝায়, যেখানে অতিক্ষুদ্র জীবগুলি বিদ্যমান, যা খালি চোখে দেখা যায় না এবং দেখতে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। এই অণুজীবগুলি এককোষী বা বহুকোষী হতে পারে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রায় সবখানে—মাটি, পানি, বায়ু এবং অন্যান্য জীবদেহে—অবস্থান করতে সক্ষম। অণুজীবের শ্রেণিবিভাগ: ১. ব্যাকটেরিয়া (Bacteria): এককোষী প্রোক্যারিওটিক জীব, যা বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে অথবা উপকারী ভূমিকা …

Read More »

কুরি তাপমাত্রা কাকে বলে

কুরি তাপমাত্রা (Curie Temperature) হলো একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, যার উপরে কোনো ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ তার চৌম্বক ধর্ম হারিয়ে ফেলে এবং প্যারাম্যাগনেটিক ধর্ম অর্জন করে। এই তাপমাত্রায় ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থের অভ্যন্তরে চৌম্বক ডোমেইনগুলোর সুনির্দিষ্ট বিন্যাস ভেঙে যায় এবং এলোমেলো হয়ে পড়ে। সংজ্ঞা: কুরি তাপমাত্রা সেই নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, যেখানে ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থের চৌম্বক ধর্ম প্যারাম্যাগনেটিক ধর্মে রূপান্তরিত হয়। ফেরোম্যাগনেটিক এবং প্যারাম্যাগনেটিক ধর্ম: ফেরোম্যাগনেটিক ধর্ম: ফেরোম্যাগনেটিক …

Read More »

ঘর্ষণ সহগ কাকে বলে

ঘর্ষণ সহগ (Coefficient of Friction) হলো একটি মাত্রাহীন সংখ্যা, যা দুটি পৃষ্ঠের মধ্যে ঘর্ষণের পরিমাণ নির্ধারণ করে। এটি ঘর্ষণ বল এবং উল্লম্ব প্রয়োগিত বলের (Normal Force) অনুপাত। এই মানটি পৃষ্ঠের প্রকৃতি, মসৃণতা বা খসখসে অবস্থা, এবং বস্তুদ্বয়ের উপাদানের ওপর নির্ভর করে। সংজ্ঞা: ঘর্ষণ সহগ হলো ঘর্ষণ বল (F) এবং উল্লম্ব প্রয়োগিত বল (N)-এর অনুপাত। এটি µ (মিউ) চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ …

Read More »

গ্রাফটিং কাকে বলে

গ্রাফটিং (Grafting) একটি উদ্ভিদপ্রজনন পদ্ধতি, যার মাধ্যমে দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের অংশ (সাধারণত কান্ড ও শিকড়) একত্রিত করে একটি নতুন উদ্ভিদ তৈরি করা হয়। এই পদ্ধতিতে একটি উদ্ভিদের কান্ড বা শাখাকে অন্য উদ্ভিদের শিকড়ের সাথে যুক্ত করা হয়, যাতে তারা একসঙ্গে বৃদ্ধি পায় এবং একটি একক উদ্ভিদে পরিণত হয়। গ্রাফটিং-এর সংজ্ঞা: গ্রাফটিং হলো এমন একটি উদ্ভিদ প্রজনন পদ্ধতি যেখানে একটি উদ্ভিদের …

Read More »

মেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে

মেরুদণ্ডী প্রাণী হলো এমন প্রাণী যাদের দেহে একটি কশেরুকাযুক্ত মেরুদণ্ড (Vertebral Column বা Backbone) বিদ্যমান থাকে। এই প্রাণীগুলো প্রাণীজগতে কর্ডাটা পর্বের (Phylum Chordata) অন্তর্গত এবং এদের দেহের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মেরুদণ্ডের উপস্থিতি, যা স্নায়ুতন্ত্রকে রক্ষা করে এবং শরীরের কাঠামো বজায় রাখে। মেরুদণ্ডী প্রাণীর সংজ্ঞা: যেসব প্রাণীর দেহে মেরুদণ্ড বা কশেরুকাযুক্ত একটি অভ্যন্তরীণ কঙ্কাল (Endoskeleton) থাকে, তাদের মেরুদণ্ডী প্রাণী বলা হয়। …

Read More »